একে করোনার ভয়াবহতা অপরদিকে নাটোরে একের পর এক পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিদিনই এমন ঘটনা জেলার কোথাও না কোথাও ঘটেই চলেছে। আজও এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। পরিসংখ্যাংন বলছে এ নিয়ে গত ৩ দিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন ও সুধি সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত ২ জুন সিংড়ায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু, ৩ জুন গুরুদাসপুরে জমজ বোনের মৃত্যু, ৪ জুন সদর উপজেলায় কাফুরিয়ায় একজন, আজ ৫ জুন আবারো বড়াইগ্রামে পানিতে ডুবে সজল নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরিফুল (৫) নামের অপর এক শিশু। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বড়াইগ্রাম আটোয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সজলৎ একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সজল এবং আরিফুল সহ ৫/৬ জন শিশু বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় সজল পানিতে তলিয়ে গেলে আব্দুল মালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৫) সজলকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে সেও পানিতে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল আলিম (২৭) দেখতে পেয়ে পুকুরে নেমে ২টি শিশু উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে সজল মারা যায়।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল আলীম জানান, আটুয়া রফিকের বাড়ির সামনের একটি পুকুরে সজলসহ ৫-৬ জন শিশু গোসল করতে নামে। এসময় হঠাৎ শিশু সজল পানিতে তলিয়ে যায়। তাকে আব্দুল মালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৭) উদ্ধার করতে গেলে সেও তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যাক্তি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করলে ঘটনাস্থলেই সজলের মৃত্যু হয়।
আহত আরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ উপস্থিত আছে মর্মে জানা যায়। মৃত শিশু সজলের পিতা প্রবাসী। বড়াইগ্রাম থানায় অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারু ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে একের পর এক পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন ও সুধি সমাজের প্রতিনিধিরা। জীবন রক্ষায় পরিবারের সবাইকে সতর্ক ও শিশুদের দেখে শুনে রাখবার পরামর্শ তাদের। এছাড়া এই বর্ষা মৌসুমে এ নিয়ে সরকারী শতর্কতামূলক প্রচারণার দাবি জানান তারা।
বিডি প্রতিদিনি/হিমেল