চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় আম নষ্ট হওয়ায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। এতে করে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলায় ফসলি জমি, আম বাগান ও বসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আইন অনুযায়ী ফসলি জমি, আম বাগান ও বসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্ত আইন অমান্য করে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আর এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় আম ফেটে যাওয়াসহ নিচের অংশ কালো হয়ে যাচ্ছে এবং তা ঝরে পড়ছে। এতে করে চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ পৌরসভাসহ পাঁকা, উজিরপুর, ছত্রাজিতপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৩০টি অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ার প্রভাবে বড় বড় আমবাগানের আম নষ্ট ও বসত ভিটা এলাকায় শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বাগান মালিক মো. হারুন অর রশীদ, মো. আব্দুল কাদির, মো. সারওয়ার জাহান সোহাগ জানান, তাদের নিজস্ব ১০০ বিঘার আম বাগানে উৎপাদিত আমের নিচের অংশ শক্ত হয়ে কালো হয়ে যাচ্ছে এবং আম ফেটে যাচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যান গবেষণার কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্রী হরিদাস মহান্ত জানান, আম নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় আম ফেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাজেই ইট ভাটাগুলো সঠিক জায়গায় স্থাপন করা জরুরি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ম নীতি মেনে ইটভাটার অনুমতি দিলে অর্থকরী ফসল আমসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির হার কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, ইট ভাটার কারণে আমের যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটা যদি বাস্তবমুখী ও সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ইটভাটা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই