নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৩৩ টি। এর মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ১৩৬ জন। বাকি ৯৭ জন চিকিৎসকের পদ খালি আছে বছরের পর বছর ধরে।
জেলার ১০ উপজেলার হাসপাতালগুলোর মধ্যে পূর্বধলায় ৩১ টি পদের মধ্যে ১৭ টি পদ শূন্য, দুর্গাপুরে ১৮টির মধ্যে ৭টি, বারহাট্টায় ১৭টির মধ্যে ৫টি, কলমাকান্দায় ২৯টির মধ্যে ১৪টি, মোহনগঞ্জে ২৮টির ১১টি, খালিয়াজুরীতে ১৭টির মধ্যে ৮টি, মদনে ২৯টির মধ্যে ১৩টি, আটপাড়ায় ১৭টির মধ্যে ৬টি, কেন্দুয়ায় ৩৪টির মধ্যে ১৪টি এবং নেত্রকোনা সদরে ১৫টির মধ্যে ২টি পদ শূন্য রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গছে, মেডিসিনের জুনিয়র কনসালটেন্টসহ সার্জারি, গাইনি, শিশু, কার্ডিও, ইএনটি, চর্ম এবং অর্থপেডিক, জুনিয়র কনসালটেন্টসহ নানা পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভিাগের মেডিকেল অফিসারের পদও শূন্য।
এদিকে সনোলজিস্ট না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে হয় না আলট্রাসনোগ্রাম। মেশিন থাকলেও তা বিকল পড়ে আছে বছরজুড়ে। এ ছাড়া করোনাকালে নেই পিসিআর ল্যাব। যে কারণে ময়মনসিংহ থেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে হয়। তবে এ বছর থেকে জিন এক্সপার্ট এবং র্যাপিট এন্টিজেন টেস্ট শুরু হলেও তা একেবারে স্বল্পসংখ্যক।
চিকিৎসকের শূন্যতা নিয়ে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, সব হাসপাতালের শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিপত্র পাঠিয়েছি। বিভিন্ন সময় চিকিৎসক পোস্টিং দেওয়া হলেও সব শূন্য পদে চিকিৎসক দেওয়া হয় না। ফলে উপজেলাগুলোয় কিছু সমস্যাতো থেকেই যাচ্ছে। পিসিআর সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, করোনাকালেও জনবল সংকটে নমুনা পরীক্ষা বেশি করানো যাচ্ছে না। অক্সিজেন সংকট ছিল, তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ