যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণায় এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ‘সুইচ’ খুঁজে পেয়েছেন, যা ওজন কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই সুইচের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড সিস্টিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে সিস্টিনের পরিমাণ কমে গেলে সাদা চর্বি (যা শক্তি জমা রাখে) পরিবর্তিত হয়ে বাদামী চর্বিতে (যা ক্যালরি পোড়ায় এবং শরীরকে গরম রাখে) রূপ নেয়।
এই প্রক্রিয়ায় শরীরের মেটাবলিজম (খাবার হজম ও শক্তি ব্যবহার প্রক্রিয়া) আরও কার্যকর হয় এবং বোঝা যায়, ক্যালরি কমালে কীভাবে ওজন কমে। আগে ধারণা করা হলেও এবারই প্রথম প্রমাণ মিলল যে, সিস্টিন সরাসরি চর্বি কমানোর সঙ্গে জড়িত।
গবেষক দলের মতে, সিস্টিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা স্থূলতা প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যকর মেটাবলিজম গঠনে নতুন চিকিৎসা-পদ্ধতির পথ খুলে দিতে পারে।
পেনিংটন বায়োমেডিক্যাল গবেষণা কেন্দ্রের ড. স্ট্যাডলার বলেন, সিস্টিন অপসারণে ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এবং ফ্যাট পোড়ার হার বেড়ে যায়। পাশাপাশি, সিস্টিন শরীরের রেডক্স ব্যালান্স (অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভারসাম্য) বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কেবল ক্যালরি কমানো নয়, বরং সিস্টিন নিয়ন্ত্রণও হতে পারে ওজন নিয়ন্ত্রণের নতুন কৌশল।
গবেষণাটি মানব ও প্রাণী উভয় পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। মানব পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা এক বছর ধরে খাদ্যাভ্যাসে ক্যালরি কমিয়েছিলেন। তাদের শরীরের চর্বি টিস্যু পরীক্ষা করে গবেষকরা হাজারো বিপাকীয় উপাদানের মধ্যে পরিবর্তন খুঁজে পান, যার মধ্যে সিস্টিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে, প্রাণী পরীক্ষায় দেখা গেছে, সিস্টিন কমে গেলে ইঁদুরের শরীরে ওজন কমে, ফ্যাট ব্যবহার বেড়ে যায় এবং সাদা চর্বি বাদামী চর্বিতে রূপান্তরিত হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল