ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি গ্রামে রিপন মিয়া (২৮) নামে মাদকাসক্ত এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। রবিবার সকালে মল্লিকবাড়ির পূর্ব পাড়া ৯ নম্বর মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত রিপন মিয়া ওই এলাকার আছমত আলী ওরফে নিধু মিয়ার ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে রিপন মদ ও গাঁজা খেয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে মারামারি করে। মারামারি করার পর তার নাকে ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে সকালে তার নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। পাশেই পেঁছানো ওড়না পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করতে পারে। সে যে পরিমাণ আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে, তাতে তার মুত্যু হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবুও লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রির্পোট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মল্লিকবাড়ি ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, রিপন সব সময় নেশা করতো। রবিবার সকালে খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি রিপনের নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।
নিহতের ভাতিজা পিয়েল জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে তার চাচা রিপন মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ির পাশেই সড়কের উপর একই এলাকার কয়েক যুবক রিপনের ওপর হামলা করে। এতে রিপন মিয়ার মাথা, নাক ও মুখে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রিপন হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে সকালে আমরা তাকে ঘরে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই।
সহকারী পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) মাহফুজা আক্তার জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি একটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই