টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীর দুইকূল উপচিয়ে গ্রামীণ এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মাতামুহুরী নদীতে বিপদসীমার উপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ পানি বেড়ে যায়। ১৫-২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়। তবে এখনো কোন বাড়িতে পানি উঠার খবর পাওয়া যায়নি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে মধ্যরাতের পর গ্রামীন সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে বেশ কিছ‚ গ্রামের লোক। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় তারা বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ঢলের কারণে সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, আমার এলাকায় এখনো বন্যার পানি প্রবেশ করে করেনি। রাতে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল বলেন, মাতামুহুরী নদীর পানি ৫টি ওয়ার্ডের কিছুকিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার