নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষক ফারাবি আহম্মেদ ফয়েজকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ফারাবির বাবা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা ফারাবিসহ তিনজনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করলে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে শর্তে ফারাবিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার বাবা রুহুল আমিন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দিতে থাকে ফারাবি, বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতার পরিবার থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন।
পরিবারের লোকজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত ছাত্রী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাকে প্রাইভেট পড়াতো একই বাড়ির রুহুল আমিনের ছেলে ও গৃহশিক্ষক ফারাবি আহম্মেদ ফয়েজ। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ফারাবি ওইছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় । এতে সে রাজি না হওয়ায় বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। গত দুই বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফারাবি। সবশেষ গত ৭ জুলাই ফারাবি ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজের ফুফুর রান্না ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ফারাবি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনায় বুধবার সকালে ওইছাত্রীর বাবা তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন