বিভাগীয় শহর হলেও রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে মৃত দেহের ভিসেরা পরীক্ষা কোন ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে রাজশাহীতে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মামলার তদন্ত কার্যক্রম। অজ্ঞাত লাশের রক্তের নমুনা সংগ্রহে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়।
রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজে আসা হত্যা, রহস্যজনক ও সন্দেহজনক মৃত ব্যক্তিদের ভিসেরা রাজশাহীর ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেখানের রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে মামলার তদন্ত কাজ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি মামলার বিচার শুরু হওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি বিভাগীয় শহরের ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলেও রংপুরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, ভিসেরার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ মনিটরিং করেন। তারাই ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করে আদালতে রির্পোট প্রদান করেন।
সূত্রমতে, প্রতিদিনই দুই একটি করে ভিসেরা রাজশাহীতে পাঠানো হচ্ছে। গত দুই মাসে রংপুর থেকে রাজশাহী ফরেনসিক ল্যাবে ৭০ টির মত ভিসেরা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৩০ টির মত। বাদ বাকি ভিসেরার রিপোর্ট কবে নাগাদ আসবে তা নির্ভর করছে রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগের ওপর। মৃতদেহের ওইসব ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মামলারও গতি আসবে না ।
রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, ভিসেরা রিপোর্টের জন্য আমাদের রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভিসেরা পরীক্ষার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ দেখাশোনা করে। তারাই এগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার