মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর ৯ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপদক ও ১২ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য পদক প্রদান করা হয়েছে। এবছর জাতীয় মৎস্য পদকে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু।
রবিবার দুপুরে ওসমানি মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য উৎপাদন (কার্প ও পাঙ্গাস) ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওই স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে পদক প্রাপ্তদের হাতে স্বর্ণপদক ও চেক তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাক। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু ২০২০ সালে ৬.৮৮ হেক্টর জলায়তন বিশিষ্ট ১০টি পুকুরে পাঙাস ও কার্প মাছের মিশ্র চাষ করে মোট ৮৩৮ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করেন। উত্তম মাছ চাষ অনুশীলন ও খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে খামারটিতে হেক্টর প্রতি ১২১.৬০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়, যা দেশের মৎস্য চাষিদের জন্য অনুসরণীয়। ফলে এ সাংসদকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২১ এ প্রদান করে সরকার।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-শাহ সুলতান শাহ জালাল মৎস্য বীজাগারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, আম্বর ফিশারীজ অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক কামরুল আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ, ইউনিক টাইগার শ্রিম্প হ্যাচারির মালিক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, রোজেমকো ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহ সেলিম হোসেন, সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ও হারুন-অর-রশীদ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই