হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দিয়ে এক দম্পতিকে চার মাস ‘একঘরে’ করে রাখার ঘটনায় দুই মাতবরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে দেবীগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক এম এম মাহাবুব ইসলাম এ নির্দেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সহিদ আলী ও আমির চাঁন। তারা উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ছলিমনগর এলাকার ছমির আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ৩০ আগস্ট দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সহিদ আলী ও আমির চাঁনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাদের দেবীগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এম এম মাহবুব ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন।
এর আগে ২২ আগস্ট পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফতোয়া দেওয়া ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জানা গেছে, দিনমজুর আয়নাল ও জামিরনের ৩৫ বছরের সংসার। তাদের চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় রাগের মাথায় স্ত্রীকে তিন তালাকের ঘোষণা দেন আয়নাল। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম্য মাতবররা জামিরনকে হিল্লা বিয়ে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই দম্পতিকে প্রায় চার মাস ‘একঘরে’ করে রাখেন মাতবরেরা।
বিষয়টি নজরে এলে ২২ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। পরে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা