শিরোনাম
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০১

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আটজনের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটজন ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা পেতে আবেদন করেন। ভাতা পাইয়ে দিতে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ইউপি সদস্য মাসুদা বেগম শিল্পী অফিস খরচ বাবদ এক হাজার টাকা করে নেন। পরে ভাতার টাকা পেতে মোবাইলে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রত্যেকের পিন নম্বর তার কাছে রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার টাকা করে আসলে ভাতা ভোগীরা টাকা উত্তোলন করতে মোবাইলসহ ওই ইউপি সদস্যের কাছে যান।

এরপর নারী ইউপি সদস্য তার কাছে থাকা পিন নম্বর দিয়ে ভাতাভোগীদের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে ভাতাভোগীরা দোকানে টাকা উঠাতে গেলে, তাদের টাকা উঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে টাকা ফেরত পেতে ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

ভুক্তভোগী মাজেদা বেগম জানান, আমরা বয়স্ক ভাতা পেতে নারী মেম্বার শিল্পীর কাছে কাগজপত্র দেই। সেই সময় তিনি অফিসের খরচের কথা বলে এক হাজার টাকা করে নেয় আমাদের কাছ থেকে। পরে আমাদের নামে তিন হাজার করে টাকা আসলে মোবাইলে টাকা উঠাতে মেম্বারের কাছে গেলে তিনি কৌশলে আমাদের পিন নম্বর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে নেন। তাই আমরা ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের সংরক্ষিত (৪, ৫, ৬) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদা বেগম শিল্পী জানান, আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমি তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাদের মোবাইলে টাকা আসেনি। আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি। এসব মিথ্যা কথা।

দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রিপন জানান, ইউপি সদস্য ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে এমন বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খবর নেব, এমন হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নৌশাদ মাহমুদ জানান, এখনো কাগজ পাইনি। কাগজ পেলে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শমসাদ বেগম জানান, বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করতে একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি। কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর