ভোট কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায়, অস্ত্রধারী অবাধ বিচরণ ও হুমকি ধামকির অভিযোগ এনে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলো উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) জিয়া আলী মোবারক কল্লোল, জাহাজ মারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) এটিএম সিরাজ উদ্দিন, চরঈশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিম আজাদ (আনারস), সোনাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটর সাইকেল) নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়া, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল) মো.মেহেরাজ উদ্দিন তমরুদ্দি ইউনিয়নের ফখরুল ইসলাম, চর কিং ইউনিয়নের মাহাবুব হাছান জুয়েল । আজ সকাল ৮-৯টার মধ্যে এসব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।
ভুক্তভোগী একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করেন, এখানে নৌকা প্রতীক পেলে কিছু হবে না। হতে হবে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর আর্শীবাদ পুষ্ট। তারা আরও জানান উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও মোহাম্মদ আলীর বিরোধীতায় ও তার লেলিয়ে দেওয়া অস্ত্রধারী বাহিনীর আতংকে নির্বাচনের দিন নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে দুই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
অপরদিকে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ৬ ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট ছিলনা । ব্যাপক জালভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কবিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ না থাকা, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হুমকির অভিযোগে ভোটের আগের দিন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ডালিম) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হানিফ (পাঞ্জাবী)। নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, তারা কি কারনে ভোট বর্জন করেছে তা আমার জানা নেই । আমাদের কাছে কোন অভিযোগও করেননি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন