ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২য় শ্রেণির দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নেপা ইউপির ছলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষক একই উপজেলার ছলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে ও ছলেমানপুর কওমি দারুল উ ুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। এই মাদ্রাসার ২য় শ্রেণিতে পড়ত ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী।
এর মধ্যে এক ছাত্রী বলেন, ১৫ দিন আগে আমাকে স্যারের বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। স্যারের বাসা মাদ্রাসার সাথেই। আমি স্যারের বাসা থেকে ভাত আনতে গেলে স্যারও আমার পিছন পিছন বাড়ি যায়। আমি দেখি স্যারের বাসায় কেউ নেই। তখন আমি চলে আসতে চাইলে স্যার আমাকে হাত ধরে কাছে টেনে নেয়। এরপর আমাকে জড়িয়ে ধরে খাটের উপরে তুলে আমার শরীরের উপরে উঠে। পরে আমি কান্না করতে লাগলে আমাকে ছেড়ে দেয়। একই সাথে আমাকে এ ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দেয়। একইভাবে এমন ঘটনার বিষয় বর্ণনা করে একই গ্রামের ২য় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন। মরিয়ম ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হাসানুজ্জামানের বাড়িতে যোগাযোগ তাকে পাওয়া যায়নি।ঘটনাটি সম্পর্কে ভুক্তভোগী দুই মাদ্রাসা ছাত্রীদের অভিভাবকেরা জানান, আমরা এমন ন্যক্কার জনক ঘটনার বিচার এবং লম্পট শিক্ষক হাসানুজ্জামানের শাস্তি চাই। এই বিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
