ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের দিনে বেড়েছে ইলিশের দাম। নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে তাই শেষ মুহূর্তে ইলিশ কিনতে বাজারে উপচে পড়া ভিড় ক্রেতাদের। আগামীকাল সোমবার ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ কারণে শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ করে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার মাছ বাজারে ইলিশের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
আজ রবিবার সকাল থেকে দিনভর জেলার কয়েকটি প্রধান মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা ও ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ছোট সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। গত দু’দিন আগে বড় ৩টি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কম দরে বিক্রি হয়েছে।
বাগেরহাট ফিসারী ঘাটের কেবি বাজার মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবেদ আলী শেষ দিনে এসে ইলিশের দাম হটাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই দূরের মোকাম থেকে তাদের বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। এ কারণে একদিকে মাছের স্বল্পতা ও ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা মাছ বিক্রেতারা বেশি দাম ইলিশ বিক্রি করছেন।
সাধারণ ক্রেতা হারুন অর রশিদ ও দীনেশ সাহা বলেন, দুই একদিন আগে যে দামে ইলিশ বিক্রি হয়েছে এখন তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। সকালে গিয়েছিলাম বাজারে বড় ইলিশ না হলেও জাটকা সাইজের নিবো তারও দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। এ সব দেখার কেউ নেই, প্রশাসনেরও কোন তদারকি নেই।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সাগর ও নদীতে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি করতে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময়ে যারা ইলিশ ধরবে এবং ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ও মজুদ করবে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। নদীতেও অভিযান চালানো হবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আগের দিন যারা ইলিশ বেশি দামে বিক্রি করছে সে বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর