লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক কৃষকের হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহতের আপন ভাতিজা সোহেল রানাকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল মালেক দোয়ানী গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক একজন কৃষক। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা নিহত আব্দুল মালেকের আপন ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২নং দোয়ানী গ্রামে গত (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের পরিবার অভিযোগ ছিল, পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন সোহেল রানা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার চাচা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার চাচাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। ওই ডোবা থেকে হাতুড়িটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আটকের পর হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন