চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে ৯শ’ ৮২ মেট্রিক টন ধান বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলার ১৩৫জন ডিলারের মাধ্যমে এসব বীজ স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারে পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, খামার বাড়ি, চাঁদপুরের বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দুটি প্রকল্প জেলার চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ,মতলব উত্তর, হাইমচরে ২৩ হাজার ৩শ’ ৯০ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ধান বিআর ২৮/২৯/৫৫/৫৮/১৬ এর বীজ ৯শ’ ৮২ মেট্রিক টন বরাদ্দ। মসুর ডাল, খেসারি ডাল ও সরিষা বীজ মিলে ১২ মেট্রিক টন। গম বীজ ২৯ মেট্রিক টন। বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি বীজ ১ হাজার ২শ’ কেজি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব বীজ জেলার বীজ গুদামে এসে পৌঁছাবে। বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অনুমোদিত ডিলাররা এই বীজ কৃষকদের নিকট সরকার নির্ধারিত প্যাকেটে সংযোজিত মূল্যে বিক্রি করবে বলে বীজ বিতরণ কেন্দ্র জানান। গত সপ্তাহ খানেক ধরে প্রতিদিন আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ মে.টন বীজ ট্রাকের মাধ্যমে আমদানী ও খালাস করা হচ্ছে।
চাঁদপুর বিএডিসি’র জেলা বীজ সরবরাহ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী পরিচালক খায়রুল বাসার বলেন, চাঁদপুরে বরাদ্দের বীজ ইতোমধ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এমনকি সেগুলো সাথে সাথে ডিলারদের মধ্যেও বিতরণ চলছে। প্রতিটি প্যাকেটে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন করা হয়েছে। বীজ ক্রয় করার সময় তিনি কৃষক বন্ধুদের প্যাকেটে সংযোজিত মূল্য দেখে নিয়ে ক্রয় করতে অনুরোধ জানান।
চাঁদপুর জেলায় খাদ্যের প্রয়োজন গড়ে ৪ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। বিগত দিনে খাদ্য ঘাটতি প্রকোট ছিলো। উন্নত প্রযুক্তি চালুকরণ ও আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যুৎ ও সার ভর্তুকি এবং ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও কৃষকের উদ্ভাবিত নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ও বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কৃষকের আর্থিক দৈন্যতা ক্রমান্বয়ে দূর হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন