ভরণপোষণ দাবি, সন্তান ও নাতির নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে নাজেরা বেগম নামে এক বিধবা নারী আদালতে মামলা করেছেন। আজ রবিবার মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেটের আদালতে জ্যেষ্ঠ পুত্র সামসুল আলম পিন্টু ও নাতি (বড় ছেলের সন্তান) সালহীন আলম অঙ্কুরের নামে এ মামলা দায়ের করেন।
নাজেরা বেগম তার লিখিত আরজিতে বলেন, আমি একজন বিধবা নারী। আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র সামসুল আলম পিন্টুর ছেলে আমার নাতি সালহীন আলম অঙ্কুর আমার নামে থাকা সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ৫ লক্ষ টাকা লোন নেয়। সেই লোনের টাকা শোধ না করে আমাকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। আমি সুদসহ ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আমার সেই জমি রক্ষা করি। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলে ও নাতি এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তখন আমি মেহেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
এরপর তারা বাপ-বেটা কয়েক মাস চুপ থেকে গত শনিবার পুনরায় হাতুড়ী লোহার সাবলসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন যুবককে নিয়ে এসে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমাকে হুইল চেয়ার থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এ সময় আমাকে আমার বাড়িটি জোরপূর্বক লিখে দেবার জন্য চাপ দেয়।
এ সময় আমার কান্নার চিৎকারে আমার অন্য ছেলেরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় আমার ছেলে সামসুল আলম ও সামসুজ্জামানকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, গত ২০ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। আমার অন্য সন্তানরা আমাকে দেখভাল করলেও আমার বড় ছেলে আমার কোন খোঁজ খবর রাখে না, ভরণপোষনও দেয়না বরং প্রতিদিন আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচারসহ জীবনের নিরাপত্তা চাই।
বিডি প্রতিদিন/এএ