নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নব গঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পদ দেয়া হয়েছে দুই মৃত নেতাকে। পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা নব গঠিত কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আত্বীয়করণের অভিযোগে কমিটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তমালতলা বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা নয়ন।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত মেয়র মোশাররফ হোসেনকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও হাফিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে পদ পাওয়া আজিজুল ইসলাম ও আহাদ আলী মৃত হওয়া সত্বেও তাদের উপজেলা বিএনপি’র সদস্য পদ দেয়া হয়েছে। ত্যাগী নেতাদের পদ দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ পদে অসুস্থ, নেশাখোর, অরাজনৈতিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতাকারী, ঢাকায় চাকরিরত এবং আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আত্বীয় স্বজনকে স্থান দেয়া হলেও দলের ত্যাগী নেতাদের জায়গা দেয়া হয়নি। যে সব নেতারা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিবসহ নেতাদের কাছে কমিটিতে থাকার জন্য আবেদন করেছেন তাদের কোন পদ দেয়া হয়নি। উপজেলা আহ্বায়কের দলে নিষ্ক্রিয় ভাই জামাল হোসেনকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে দীর্ঘদিন থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করা মাইনুল ইসলামকে। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে দুই কমিটিতে মা ও ছেলে কে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠন গঠনের সময়ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলা আহ্বায়ক তার শ্যালক, ভাই ও ভাতিজাসহ আত্বীয়দের দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দুই যুগ্ম আহ্বায়ক আনসার আলী সরকার ও নাছির উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম ও আবু সাঈদ, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন ও সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজদার হোসেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: আমিনুল হক বলেছেন, স্থানীয় নেতারা যে তালিকা পাঠিয়েছেন সেই অনুযায়ীই আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনেকদিন আগে পাঠানো তালিকা তাই কোন ভুলত্রুটি হলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় ভুল গুলো সংশোধন করে দেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন