নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকার জেরে কাশেম আলী (৪২) নামে এক কৃষককে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে কেনাল নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত কৃষক কাশেম আলী নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের সাইদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত কেনাল পার্শ্ববর্তী এলাকা গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদেশ যাওয়ার জন্য কাশেম আলীর কাছে টাকা দিয়েছিল কেনাল। করোনার সময় বিদেশ না যেতে পেরে কিছু টাকা ফেরত নেয় কাশেমের কাছ থেকে কেনাল। বাকি ৮০ হাজার টাকা বকেয়া ছিল। সেই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা কাশেম কেনালকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কেনালের কাছে কাশেমের চেক রাখা ছিল। টাকা দেওয়ার সময় কেনালের কাছে চেক ফেরত চায় কাশেম। চেক হারিয়ে গেছে বলে কেনাল দাবি করেন। এ কারণে টাকা দেয়নি কাশেম। সেই টাকার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নাজিরপুর বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল কাশেম। নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে কাশেম পৌছাঁলে তাকে কেনাল প্রথমে লোহার বাটাম দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। কাশেম রাস্তায় পরে গেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে কেনাল। পরে কাশেমের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই বলেন, কাশেম দীর্ঘ ৭ বছর ইরাকে ছিল। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। কাশেমের এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। কেনালের যে টাকা পাওনা ছিল, কাশেম দিতে চেয়েছে। তারপরও কেনাল কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করলো।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালোনো হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আশা করি অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এমআই