চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের আগমনী বার্তা আসার সাথে সাথে তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে কারিগরদের। শীতের শুরুতেই লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। শীতের আমেজ আসতে শুরু করায় ক্রেতারাও ভিড় জমাতে শুরু করেছে লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে।
কয়েকদিন ধরে জেলায় হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক লেপ-তোশক তৈরির সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
লেপ-তোশক তৈরির কারিগর লিটন ও সজিব জানান জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দেওয়া শুরু করেছেন। এবছর তুলার দাম বেড়ে গেছে। কাপাশ তুলা দিয়ে বানাতে লেপের খরচ পড়ে ১৫০০-১৬০০ টাকা এবং তার চেয়ে ভাল লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৮০০-১৯০০ টাকা। প্রতিটি ৪-৫ হাত লেপ-তোশক বানাতে ৩০০ টাকা মজুরি হিসেবে পান তারা। এছাড়া সিঙ্গেল লেপ তৈরিতে তারা পান ২০০ টাকা। একজন কারিগর ভালো করে তৈরি করলে দিনে ২টি লেপ তৈরি করতে পারেন।
এদিকে লেপ-তোশকের দোকান মালিক ওয়াহেদুর রহমান জানান, এবার কাপাশ তুলার দাম বেড়ে গেছে, সেই সাথে গজ প্রতি ৬/৭ টাকা কাপড়ের দাম বেড়েছে। এতে করে লেপ তৈরিতে দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে। প্রতিদিন ৫/৬টি করে লেপ তৈরির অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোশক বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার দাম একটু বেশি। কাপাশ তুলার দাম ১৮০ টাকা কেজি ও শিমুল তুলা প্রতি কেজি সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। অন্যদিকে ক্রেতা শরিফুল আলম বলেন, ঠান্ডা বাড়ছে পাশাপাশি দোকানগুলোতে চাপ বাড়তে পারে। সেকারণেই আগেই লেপ বানাতে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই