বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আমরা দিল্লির দাসত্ব ও গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছি ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়। বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও কোনো ভিনদেশিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস হচ্ছে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এক গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস। এই দেশের মানুষ ইতিমধ্যে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে, দিল্লির আধিপত্য আমরা বরদাশত করি না। শেখ হাসিনা যখন দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, তখন আমরা রক্ত দিয়ে সেই যুদ্ধে জয়লাভ করেছি।
তিনি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর গণহত্যা, জুলাই গণহত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মামুনুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এক অটুট ইতিহাস গড়েছে। ২০২৪ সালের সংগ্রাম এদেশের স্বাধীনতাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে, যেখানে আমরা স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ খন্দকার। সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার।
এ ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা এমরান আলমসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই