গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৯৯৯ সালে একটি কলেজের অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার শিকার হন কৃষক হাসান আলী। সেই হত্যা মামলার রায়ে আট আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন সাবেক পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবু। বাকী সবাই জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পলাশবাড়ী আদর্শ (ডিগ্রী) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী উপজেলার সুইগ্রাম ও আমবাড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে একই সালের (১৯৯৯ সাল) ২২ অগাস্ট পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের হাসান আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন আসামিরা। আক্রমণে হাসান আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম প্রামাণিক বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপীলে যাব।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর