তিউনিসিয়ায় ট্রলার ডুবিতে মাদারীপুরের দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে লিবিয়া থেকে সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ায় ট্রলার ডুবির এই ঘটনা ঘটেছে।
মৃত যুবকরা হলেন-মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী এলাকার আবুল কালাম খানের ছেলে সাব্বির খান ও মাদারীপুর সদর উপজেলার বড়াইলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে সাকিবুল।
সাব্বিরের পরিবারের দাবি, ছেলের উন্নত জীবনের আশায় দালালদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মোটা অঙ্কের টাকা। কয়েক দফায় সাব্বিরকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। একই রকম ঘটনা ঘটেছে সাকিবুলের ক্ষেত্রেও। শনিবার রাতে দুই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন দুজনই লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবিতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দালালদের বিচার দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী গ্রামের সাব্বির খান ও বড়াইলবাড়ী গ্রামের সাকিব তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন ৬ মাস আগে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। শনিবার তাদের লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ট্রলারে যাত্রা করায় দালালচক্র। রাত ৮টার দিকে তিউনিসিয়ায় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে মারা যান সাব্বির ও সাকিবুল।
সাব্বিরের বাবা আবুল কালাম খান জানান, দালালরা কয়েক দফায় তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। তারা আমার ছেলেকে লিবিয়াতে আটকে রেখে টাকার জন্য নির্যাতন করতো। নির্যাতনের কল রেকর্ড শুনিয়ে কয়েক দফায় ১০ লাখ টাকা দেন। আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেছিল তারা। এরই মধ্যে শনিবার রাতে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ট্রলারে তুলে দেয়। সেখান থেকে তিউনিশিয়ায় ট্রলার ডুবিতে তার ছেলে মারা গেছেন। দালালরাই আবার ফোন করে সেই খবর দিয়েছে। এ ঘটনা দালালদের বিচার চেয়েছেন তিনি।
সাকিবুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে তারা জোড় করে ট্রলারে তুলে দিয়েছে। সেই ট্রলার ডুবেই মারা গেছে। সরকারের কাছে দাবি, আমার ছেলের লাশটা যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই