কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় দুই ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর ১৬ এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দেশীয় লম্বা বন্দুক, তাজা কার্তুজ, রামদা ও চাকু নিয়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক এসপি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার ভোররাত সোয়া ৪টায় ২৪নং লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ/১৪ এর খোলা মাঠে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে নয়াপাড়া ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স অভিযান চালিয়ে পশ্চিম লেদার মৃত হায়দর আলীর ছেলে জামাল হোসেন (৪৫) ওরফে জামাল ডাকাত, জামাল হোসেনের ছেলে মো. হামিদ (২১) এবং আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ ইলিয়াস (১৬) কে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩টি রামদা ও ১টি স্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়। ধৃত জামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দেড় ডজনের মতো মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত অস্ত্রাদিসহ ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে পশ্চিম লেদার আব্দুল গফুরের ছেলে ডাকাত রুবেল, টুইল্ল্যার ছেলে রবিউল হাসান রবুসহ ৩/৪জনের সাথে জামাল ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর ভোররাতে এই অভিযানে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করেন প্রকৃত অপরাধী, সন্ত্রাসী, ডাকাত, চাঁদাবাজ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্যরা যে দলের বা গ্রুপের হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন