ঝিনাইদহের মহেশপুরে অসুস্থ বাবার সামনে ছেলেকে নিজের মুখে জুতার বাড়ি দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একই সাথে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরিফুজ্জামানের পা ধরেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন বাবা গিয়াস উদ্দিন সরকার। গত ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে
জানা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন (৬২)। সেই দৃশ্যের স্মৃতি নিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী ওই তরুণের নাম এস এম সরকার। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে।
মুখে জুতা মারার ঘটনার পর দুঃখ করে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে এস এম সরকার লিখেছিলেন, ‘মানুষ কখন আত্মহত্যা করে?’ বাবার মৃত্যুর পর তিনি কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন। শুধু বলছেন, ‘ওরা আমাকে জুতা মারতে বাধ্য করার কারণে অসুস্থ বাবা খুব কষ্ট পেয়েছেন, যে কারণে তাঁকে বাঁচানো গেল না।’
তবে ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান জানান, হুসাইন সরকার আমাকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছিল। সে কারণে আমি থানায় হুসাইনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে একটি অভিযোগ করি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য আইডি থেকে তুলে নেওয়াসহ তার সাথে আপোষের জন্য গিয়েছিলাম। তার পিতা-মাতার সামনে এটি করা হয়নি এবং যা হয়েছে কেবিনের বাইরে এবং আমি তাকে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখায় নি।
রাতের বেলায় হাসপাতালে রোগীর কেবিনে ঢুকে নির্যাতনের ঘটনাটি জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল সাত্তার জানান, বিষয়টি জানি না। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গিয়াস উদ্দিন (৬৫) নামে ওই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ নিহতের নিজ গ্রাম যাদবপুরে শোকে ছায়া নেমে এসেছে। তিনি যাদবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর