বরগুনার তালতলি সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়ায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিশোর ছেলে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে ও তার মাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাবা সোহরাব মিয়ার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, তালতলি উপজেলায় সামাজিক সংগঠন 'জাগোনারী'র কিশোর-কিশোরী দলের সদস্য মো. সুজন। শুক্রবার বাড়িতে তাকে (১৬) তার বাবা জোড় করে বিয়ের প্রস্তুতি নিলে পালিয়ে 'জাগোনারী'র অফিসে আশ্রয় নিয়ে বিয়ে বন্ধে সহযোগিতা চায়। পরে বিষয়টি তালতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে সুজনের বাবা সোহরাব মিয়াকে থানায় নিয়ে আসেন।
জাগোনারীর প্রকল্প সমন্বয়কারী রাবেয়া মুন্নি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সুজন তাদের কিশোর-কিশোরী দলের সদস্য। তার বাবা মেয়ের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও জমির প্রলোভনে সুজনকে জোর করে বিয়ের আয়োজন করে। তার মা ফাতেমা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। সুজন তাদের অফিসে এসে বিষয়টি তাকে অবহিত করলে সে তালতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে সুজনের বাবাকে থানায় নিয়ে যান।
সোহরাব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না বেগমের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সুজন জানান, নিজে কাজ করে উপার্জন করে পড়াশোনা করছেন তিনি। তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান তিনি। লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি করার ইচ্ছে তার। এর আগেই তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তারা বাবা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল