যৌতুকের টাকা না পেয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গুলনাহার পারভীন মিনু (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের পর তার মাথার চুল ও চোখের ভ্রু কেটে দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও মিনুর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন (৪৩), দেবর সুমন (৩৫) ও শাশুড়ি ময়না বেগম (৫৫)।
মঙ্গলবার সকালে র্যাব-১২’র উপ-অধিনায়ক মেজর মুশফিকুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, নির্যাতিতা গুলনাহার পারভিন মিনুর গত ১৫ বছর আগে আসামি মেহেদী হাসান সুজনের সাথে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংসার জীবনে মেহেদী হাসান সুজন গার্মেন্টসে চাকরি করে। চাকরির সুবাদে স্ব-পরিবারে ঢাকায় বাস করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর শাহজাদপুরে স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর গৃহবধূর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারিরিকভাবে নির্যাতন করে মাথার চুল এবং চোখের ভ্রু কেটে দেয়। ফলে গৃহবধূকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার ২০ ডিসেম্বর শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর র্যাব-১২ এর কাছে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর রাতে র্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে জেলার শাহজাদপুর এবং ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সকালে আসামিদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম