রাজশাহীতে নিজের ফ্ল্যাটে তরুণীসহ আপক্তিকর অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়েছিলেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল রানা। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। এরপর থেকে পুলিশের কাছে পলাতক তিনি। পুলিশের কাছে পলাতক থাকলেও গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০ ডিসেম্বর শপথ নিয়েছেন সোহেল রানা।
অবশ্য এ ঘটনায় মামলা করে ওই তরুণীকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর চেয়ারম্যান পালিয়ে গেলেও ঘটনাটি অধর্তব্য অপরাধ বলছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
গত ১১ নভেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সোহেল রানা। শপথ গ্রহণের আগেই গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে তরুণী নিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। তরুণীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেও পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান সোহেল। তবে গত ১৮ দিনেও তার হদিস পায়নি। যদিও এ চেয়ারম্যান গোদাগাড়ীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। গত ২০ ডিসেম্বর তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথও নিয়েছেন। তবুও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে ধরতে পারেনি। ঘটনার দিন একসঙ্গে আটক হওয়া তরুণীকে জেল হাজতে পাঠানো হলেও সোহেলের ব্যাপারে উদাসীন পুলিশ।
জানা গেছে, পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে সোহেল এলাকায় ফিরলেও ধরা পড়ে যান তরুণী। অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনায় প্রসিকিউশন দিয়ে পরের দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
নগরীর শিরোইল ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর আলী জানান, অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে থিম ওমর প্লাজায় ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। ফ্ল্যাট থেকে বের করে থানায় নেওয়ার সময় সোহেল পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান।
থিম ওমর প্লাজার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান পাপ্পু জানান, ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়ে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। এরমধ্যে পুলিশের কবজা থেকে সোহেল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ কয়দিন ধরে খোঁজ খবর নিলেও এখন চুপ করে আছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মণ বলেন, চেয়ারম্যানের অপরাধ ধর্তব্য নয়। তার বিরুদ্ধে ওই তরুনী কিংবা তার পরিবার কোনো অভিযোগ দেয়নি। তারপরেও মামলাটি ট্রায়ালে আছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন