মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভোট না দেওয়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ ১৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা বেগমকে (১৯) উপজেলা স্বস্থ্য কপপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য আহতদের মধ্যে রয়েছেন- মোক্তার হোসেন (৩৫), দেলোয়ার হোসেন (৪০)ও নাসরিন (১২)।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফেজ ফজলুর নির্দেশে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সর্মথকদের পুরুষশূন্য বাড়িঘরে এই হামলা চালানো হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা ১৫টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে। এ ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে নারীসহ ১০ জন আহত হন। হামলার ঘটনার পর থেকে পুরুষশূন্য বাড়িঘরের নারী ও শিশুরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আনারস প্রতীক নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফেজ ফজলু। তিনি বলেন, “আমার কোনও কর্মী-সর্মথক এই হামলার সাথে জড়িত নয়। যারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম