শুক্রবার বগুড়ায় হয়ে গেল ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্য ‘ঘোরদৌড়’ খেলা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঢাকন্তা গ্রামে। গ্রামের যুবকদের সংগঠন একতা সংগঠন এই ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করে। ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মেলা বসে যায়। হাজার হাজার নারী পুরুষ এই ঘোড়দৌড় উপভোগ করেন।
দিনব্যাপি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায়ী মো. খালেদ সাইফুল্লাহ রতন। বক্তব্য রাখেন বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল কুদ্দুস ডিলু, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ শামীম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজার রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম। সমাজসেবক আব্দুল্লাহহেল কাফি সরকারের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকন্তা সোনার বাংলা একতা সংঘের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছার রহমান প্রমুখ।
দিনব্যাপি এই ঘোরদৌড় প্রতিযোগিতায় বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২৪টি ঘোড়া অংশ নেয়। খেলা দেখতে স্থানীয় গ্রামের হাজারও নারী-পুরুষ সমবেত হন। এ উপলক্ষে এলাকায় বসে গ্রামীণ মেলা। শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের জন্য গ্রামীণ ঐহিত্যপূর্ণ রকমারি খাবার মেলে এ মেলায়। আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে খেলা শেষে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জয়ীদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
গ্রামের সুশীল সমাজের পক্ষে ডা. আব্দুল মজিদ জানান, গ্রাম বাঙলার ইতিহাস ঐহিত্য সমৃদ্ধ অনেক খেলাধূলাই ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে। প্রাচীন খেলার অন্যতম ঘোরদৌড় খেলাটিও প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই ঢাকন্তা গ্রামের তরুণরা এই ঘোড়দৌড় খেলার আয়োজন করেছে। দেশের যুব সমাজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ তাদের নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতি ভুলে যেতে বসেছে। আমাদের সংস্কৃতি তাদের সামনে তুলে ধরতেই যুব সমাজের এ ধরনের উদ্যোগ।
বগুড়া ওয়াইএমসিএ এর প্রেস সচিব আজাহার আলী জানান, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যগুলো। ফলে গ্রাম বাঙলার এতিহ্যগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ এগুলো একটি দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বহন করে। তাই এগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হারানো অতীতকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবেই দেশ সমৃদ্ধশালী হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ