ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ছিল দুই সারির বিশাল লাইন। সবাই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছে। কে আগে টিকা নেবে সেই প্রতিযোগিতা লাইনের বিভিন্ন অংশে। ছিল না তেমন সামাজিক দূরত্বের উপস্থিতিও।
অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় জায়গা ছোট হওয়ায় এমন পরিস্থিতি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বলছেন, একই দিনে একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসায় টিকা কেন্দ্রে বেশি ভিড় হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দেখা যায় এমন চিত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৩৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ১৫টি ও ৬টি কলেজের (সাধারণ ও কারিগরি শাখা) ১২-১৮ বছর বয়সের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে টিকার কার্যক্রম শেষ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা।
গণটিকা কর্মসূচি বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনীর আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত ৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি বুথের মাধ্যমে টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা সংকট দেখা না দিলে আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ইউনিয়নভিত্তিক আয়োজন করা হয় গণটিকা কার্যক্রমের। তবে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও টিকার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের তথ্যানুসারে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলায় শুরু হয় টিকার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২০৯ জনকে প্রথম ডোজ ও ৮৬ হাজার ২৯৫ জনকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা। করোনা মহামারির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় ৫০০ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই