বগুড়া সারিয়াকান্দিতে প্রাণি প্রদর্শনী মেলার প্রধান আকর্ষণ মরুর দেশের গারল। এছাড়াও মেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রাণিদের দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় তো রয়েছে-ই।
বুধবার সকালে সারিয়াকান্দি প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বরে প্রাণি প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহ আলম। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ, সমাজসেবা অফিসার সামিউল আলম, বিআরডিবির কর্মকর্তা রাজ্জাক উল হায়দার, ডাঃ শাহে আলম প্রমুখ।
এদিকে মেলায় ষাঁড় গরু, দুধেল গরু, মহিষ, গারল, দই ঘি মাখন, ক্রিম সাপোর্টার, খরগোশ, বাজুরিকা পাখি, কুকাটেল পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর, বেঙ্গল পাখি, বিদেশি ঘুঘু, ডায়মন্ড ঘুঘু, প্রিন্স পাখি, ডিম ফোটানো ও চোর ধরার মেশিন, পাকিস্তানি মুরগি, ব্রয়লার মুরগি, লেয়ার মুরগি, বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, টার্কি হাঁস, চিনা হাঁস, রাজহাঁস, পাতিহাঁসের স্টলসহ ২৭ টি প্রাণির প্রদর্শনী স্টল আছে।
এ বছরের মেলার প্রধান আকর্ষণ মরুর দেশের গারল। মরুর দেশের গারল একনজর দেখার জন্য যমুনা গারল খামারের সামনে দর্শনার্থীদের ভীড় সবচেয়ে বেশি।
স্টলের স্বত্বাধিকারী গারল খামারের মালিক আশরাফ আলী জানান, 'মরুর দেশের গারল এখন আমি এদেশেই পালন করছে এবং লাভবান হয়েছি। ২৫ টি গারল হতে গত এক বছরে আমার খামারে শতাধিক গারল হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গারল বিক্রিও করেছি।
মেলার আরেক আকর্ষণ সাড়ে নয় মণ ওজনের ষাঁড় গরু। এর মালিক পৌর এলাকার কুঠিবাড়ী গ্রামের আনছার প্রাংশখ করে নাম রেখেছেন সরকার। তিনি গরুটিকে বুট, ভূষি এবং অনুপম কলা খাওয়ান। এর বয়স মাত্র ১ বছর ৫ মাস।
মেলার আরেক আকর্ষণ ৩২ লিটার দুধ দেয়া দুধেল গাভি। এর মালিক সদর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের মতিন মিয়া জানান, গাভীটির বাছুর মাত্র ৬ মাস বয়সে গর্ভবতী হয়েছে।