বগুড়ার কাহালু উপজেলায় মৎস্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সেকেন্দার আলীকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ৪টি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
এর আগে ২ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেকেন্দার আলী আজ শনিবার সকাল ১০টায় মারা যান। মারা যাওয়ার সংবাদ গ্রামে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এই আগুন দেয়।
জানা যায়, বগুড়ার কাহালু উপজেলার শাপলা মৎস্য খামারের স্বত্বাধিকারী সেকেন্দার তার নিজ গ্রামের বাসিন্দাদের ভোটে নির্বাচিত গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। নিহত সেকেন্দার কাহালু সদর ইউনিয়নের জয়তুল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। গত ২ মার্চ জয়তুন গ্রামে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি মারা যান। মারা যাওয়ার পর স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজার নামাজ হওয়ার কথা। গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে সেকেন্দার আলী বিদ্যালয় মাঠে যান জানাজা নামাজে অংশ নিতে।
রাত প্রায় ৮টার সময় গ্রামবাসী জানাজা নামাজের প্রস্তুতি নিলে সেই সময় ইউনিয়ন তাঁতি লীগের সভাপতি রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জনের সশস্ত্র যুবক সেকেন্দারের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। যুবকরা এলোপাতাড়িভাবে সেকেন্দারকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টায় সেকেন্দার মারা যান।
মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছালে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী রাকিব, তার বাবা ফজলু ও চাচা নজরুল ইসলামসহ ৪ জনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বগুড়ার কাহালু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুবেল রানা জানান, আগুন লাগানোর খবর পেয়ে জয়তুল গ্রামে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেলে ক্ষিপ্ত জনতা আগুন নেভাতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আগুন নেভানো হয়।
বগুড়ার কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন জানান, সেকেন্দার মারা যাওয়ার সংবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ৪টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাধ্যমে। এদিকে হামলার পর থেকেই জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর