বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মজাপুকুর সংস্কার করে পানির তলদেশে ৯২ হাজার ৩৪০টি লাল ও সবুজ রঙের মরিচ বাতি জ্বালিয়ে ব্যতিক্রমীভাবে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুললো উপজেলা প্রশাসন। ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯৬ ফুট প্রস্থ এই পুকুরের পানিতে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ফুটিয়ে তোলা হয় মেট্রো রেলসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহিত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়ন চিত্রগুলো।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুজিব চত্বরের পরিত্যক্ত পুকুর সংস্কার করে বিজয় নিশান তৈরীর এই ব্যক্তিক্রম উদ্যোগ নেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তার প্রচেষ্টায় নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলার বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রও তুলে ধরার জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মাফিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত উপজেলা প্রশাসনের মজাপুকুর সংস্কার করেন। পুকুর সংস্কার করে সেই পুকুরের তলদেশে লাল সবুজ মরিচবাতি লাগানো হয়। মরিচবাতিগুলো এমনভাবে বসানো হয় যেন সুইচ চাপলে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা চিত্র ফুটে উঠবে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্ন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যার নেতৃত্বে এই বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছে। তাই বঙ্গববন্ধু ও তার স্বপ্নের সোনার বাংলা হৃদয়ে ধারন করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
বগুড়া-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, ধুনট উপজেলায় বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরী করা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নচিত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন