অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বিপুল পরিমান উন্নতমানের থ্রি-পিস, ইমিটেশনের গহনা আমদানির সময় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্ধর থেকে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ পন্য জব্দ করেছে দুটি জাতীয় গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ফল আমদানির নামে এলসির মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা এসব পন্য সোমবার গভীর রাতে জাতীয় নিরাপত্তা শাখা এনএসআই ও বিশেষ গোয়েন্দা শাখা ডিজিএফআই এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জব্দ করে।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার ভোমরা বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভারত থেকে ফল আমদানির ঘোষণা দিয়ে একটি পণ্যবাহি ট্রাকযোগে ভোমরা স্থল বন্দর ওপেন ইয়ার্ডে বিপুল পরিমান উন্নতমানের থ্রি-পিস ও ইমিটেশনের গহনা আনা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওপেন ইয়ার্ডে উক্ত মালামালগুলো ভারতীয় ট্রাক-(পিবি-০৩-বিজি-৯৯৭৮) থেকে আনলোড করে বাংলাদেশি দুটি ট্রাক যশোর-ট-১১-৪৬৪৩ ও সাতক্ষীরা-ট-১১-০৪৫১ এ ভর্তি করা হচ্ছিল। এসময় ১ হাজার ২৯টি ক্যারেট পন্য হাতে নাতে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে ৯১ ক্যারেটে ভারতীয় উন্নতমানের ১ হাজার ৫৩ পিচ থ্রি-পিস ও ১৫৪.২৬ কেজি ইমিটেশনের স্বর্ণের গহনা। এছাড়া বাকি ক্যারেটগুলোতে রয়েছে ২৪ হাজার ৯৪৩ কেজি কমলা। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
দুটি গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা যায়, ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাফি এন্টার প্রাইজের নামে বগুড়ার অনি এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারী অনি নাথ উক্ত মালামালগুলো আমদানি করে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে কাষ্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কোটি কোটি টাকা সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এভাবে অবৈধ পন্থায় পন্য আমদানি করে আসছিল।
ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক ষ্টেশনের সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোমরা স্থল বন্দর ইয়ার্ড থেকে মালামাল গুলো জব্দ করার সময় কাষ্টমস সদস্যসহ ওই দুটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো জানান, কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল