শেরপুরে যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে চালককে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এর মধ্যে সাগর (২৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৪২ বছর ও মিল্টন (২৪) নামে অপর যুবককে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন। সাগর শেরপুর সদর উপজেলার যোগিনীমুরা ডাকাতপাড়া এলাকার শাজাহান আলীর ছেলে ও মিল্টন শহরের দমদমা কালীগঞ্জ মহল্লার বাদশা মিয়ার ছেলে।
একই মামলায় রেজুয়ান (২৪) নামে অপর এক আসামিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। সাগর মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, হত্যা, ছিনতাই ও আলামত গায়েব করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত সাগরকে যাবজ্জীবনসহ (৩০ বছর) মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর অভিযুক্ত মিল্টনকে ৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সব দণ্ডই একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে। তবে ইতোপূর্বের ভোগকৃত হাজতবাস কাল থেকে ওই দণ্ডকাল বাদ যাবে। মিল্টন গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় ভাড়ায় নেওয়া একটি নতুন অটোরিকশা নিয়ে শেরপুর শহরের দমদমা কালীগঞ্জ এলাকা থেকে বের হয় অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু গভীর রাতেও সে বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজ নিতে গিয়ে নিজের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পায় পরিবারের লোকজন। পরদিন ভোরে পার্শ্ববর্তী মোবারকপুর এলাকাস্থ এক ইটের ভাটায় আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য মতে, পুলিশ সাগর ও মিল্টনকে সন্দেহ করে। রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিল্টনের বসতঘর থেকে রক্তাক্ত জামা-কাপড়, তার বাড়ির পাশের এক কবরস্থান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিনতাই করা অটোরিকশা উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় রাজ্জাকের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এই রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর