নাটোরের বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে ঘরে ঢুকে মুখমণ্ডল থেঁতলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বনপাড়া পৌরশহরের সরদারপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতেই এই নৃশংস ঘটনায় নিহত হন তিনি। বানপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর মমতাজ বেগম একাই তার বাড়িতে থাকতেন। তার ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পৈতৃক বাড়ির নিকটস্থ অন্য বাড়িতে থাকেন এবং মেয়ে বেবি আক্তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মমতাজ বেগমের দেখাশোনার জন্য দিনভর গৃহকর্মী সুফিয়া বেগম (৪০) নিয়োজিত থাকতেন এবং রাতে প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন কাজী আবু শামা (৬০)।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মী সুফিয়া কাজ সেরে বাড়ি থেকে চলে যান। পরে প্রহরী আবু শামা মসজিদ থেকে ফিরে গিয়ে বাড়ির মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মমতাজ বেগমকে পড়ে থাকতে পান; তার মুখ থেঁতলানো ছিল। চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারিক বরাত দিয়ে ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু বলেছে, মূলত ফাঁকা অবস্থায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর মাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের বালা-চুড়ি, আঙুলের তিনটি সোনার রিং ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। তিনি ঘটনার দ্রুত উদঘাটন ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস জানান, প্রাথমিকভাবে এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক সুরতহাল ও সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং থানা পুলিশ ও পিবিআই যৌথভাবে মাঠে নেমে তদন্ত চালাচ্ছে। রাতে ও পরবর্তীতে আরও প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল