কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধ থ্রি হুইলার, সিএনজি, টমটমের রোহিঙ্গা চালক ও হেলপাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে অদক্ষ রোহিঙ্গা চালকের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে, বাড়ছে যানজটও।
রোহিঙ্গা চালকদের বিরুদ্ধে এনআই কার্ড ও বৈধ কাগজপত্র চেক করাসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য প্রসিকিউশন দেওয়া ও দিকনির্দেশনামূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (৯ এপ্রিল) টেকনাফ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে থ্রি হুইলার, সিএনজি, টমটম চালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে এনআইডি কার্ড ও কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। এসময় যেসব যানবাহন চালকদের লাইন্সেস, এনআইডি বা জম্মনিবন্ধন কার্ড পাওয়া যায়নি, সেগুলো আটক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ‘অন্যান্য উপজেলার চেয়ে টেকনাফ অনেকটা ভিন্ন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত টেকনাফ পৌর শহরের অলিগতিতে থ্রিই হুইলার, সিএনজি ও টমটম চালাচ্ছে। আবার অনেকে এসব যানবাহন নিয়ে মাদক বহন করছে। ফলে অদক্ষ রোহিঙ্গা চালকদের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, বাড়ছে যানজটও।
শনিবার সকাল থেকে টেকনাফ পৌর শহরে বিভিন্ন মোড়ে টেকনাফ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া ও এটিএসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এসময় প্রায় একশো টমটম ও থ্রি-হুইলার সিএনজির আইডি কার্ড চেক করা হয়। গত কয়েকদিনের অভিযানে পৌর এলাকায় রোহিঙ্গা চালক বা হেলপারের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এরপরও বিভিন্ন অলিগলিতে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে ট্রাফিক পুলিশ। অভিযানের পর আগের তুলনায় টমটম চলাচল কমে গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের কঠিন দিকনির্দেশনা মোতাবেক টেকনাফ ট্রাফিক পুলিশের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে প্রায় একশো টমটম ও থ্রি-হুইলার সিএনজির আইডি কার্ড যাচাই-বাচাই করেছি। কয়েকদিনের অভিযানে টেকনাফ পৌর এলাকায় রোহিঙ্গা চালক বা হেলপারের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বিভিন্ন অলিগলিতে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানের পর আগের তুলনায় টমটম চলাচল কমে গেছে। রোহিঙ্গা পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ