রংপুরে ঈদকে সামনে রেখে মাদক পাচার বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজার চালানের সাথে মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়ছেন। তারপরও কমছে না মাদকের রমরমা ব্যবসা। সীমান্ত পেরিয়ে অভিনব কায়দায় এইসব মাদক পাচার হচ্ছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১৩ সদর এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা হতে ২০২ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. দুখু মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করে। তার বাড়ি রংপুরে। শুক্রবার রাতে র্যাব লালমানিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলা ৩০১ বোতল ফেনসিলসহ মাদক ব্যবসায়ী তোতা মিয়া (৪৫) ও বকুল চন্দ্র রায়কে (২৮) গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন পুলিশ তাজহাট মর্ডান মোড়ে পাকা রাস্তার উপর থেকে ৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মো. আরিফুল ইসলাম (২২) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ওয়াজেদ আলীকে গ্রেফতার করে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে মাদক পাচারকারিরা এসব মাদক দেশে আনছেন। মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকা, তিস্তার চর, কুড়িগ্রামসহ অন্যান্য জেলার সীমান্ত। সূত্র মতে, সীমান্তের ওপারে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ফেনসিডিলের কারখানা। এসব কারখানায় প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ফেনসিডিল। এই ফেনসিডিল উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত গলিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের কোথাও না কোথাও ফেনসিডিলের চালান ধরা পড়ায় ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ অভিভাবকবৃন্দ। নেশার টাকা জোগাড় করতে উঠতি বয়সের যুবকেরা বিভিন্ন অপরাধ লিপ্ত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ফেনসিডিল আসক্তির কারণে যুবকরা ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া ) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালন করছেন। মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা