বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া নদীতে খেয়া ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে ৩ জনের লাশ উদ্ধার হলো। এ দুর্ঘটনায় এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশী চালাচ্ছে উদ্ধারকারী সংস্থা। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীর তীরে ভিড় করছেন শত শত কৌতূহলী মানুষ। এদিকে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপনসহ তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের ২ কিলোমিটার দূরে গরাজিয়া নদীর বাগরজা পয়েন্টে জেলেদের কারেন্ট জালে আটকে পরা এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। শিশুটির নাম মো. রায়হান (৪)। সে ওই উপজেলার চরবড়ুয়া গ্রামের মুনতাস হাওলাদারের ছেলে। সে ওই ট্রলার যাত্রী ছিলো। এ নিয়ে গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনার পর মা ও মেয়েসহ ২ জন এবং গতকাল এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হলো।
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশী চালাচ্ছে সরকারী বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংস্থা। উদ্ধার অভিযান দেখতে এবং নিখোঁজদের ফিরে পেতে গজারিয়া নদীর তীরে ভিড় করছেন শত শত কৌতুহলী মানুষ।
গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে গজারিয়া নদীর খেয়া ট্রলার পারাপারের সময় ঢেউয়ের তোড়ে ২৫ জন যাত্রী বোঝাই ওই ট্রলারটি ডুবে যায়।
বরিশাল নৌ পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর ২০ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। অপর ৫ জনের মধ্যে দুর্ঘটনার পর একই পরিবারের মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ উদ্ধার হয় এক শিশুর লাশ। অপর দুই জনের সন্ধানে নদীতে চলছে তল্লাশী।
অপরদিকে দুপুর ১টায় বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ ওই দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানান। এ সময় মা ও মেয়ের পরিবারকে ৫০ হাজার এবং অপর ৩টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ২০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার এবং ডুবে যাওয়া ট্রলার মালিককেও ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন স্থানীয় সাংসদ। দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে সার্বিক সহায়তা দেয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল