মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, নাঁচ-গান ও আবৃত্তি এবং দুই দিনব্যাপী মেলার মধ্য দিয়ে বরিশালে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি পৃথক ৩টি আয়োজনে বর্ষবরণে অংশগ্রহণ করেন শতশত সাংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। এসব অনুষ্ঠান থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানানো হয়। এদিকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নগরীর বিএম স্কুল মাঠে প্রভাতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরিশাল উদীচী এবং বরিশাল নাটক নামে দুটি সংগঠন। এ সময় সেখানে রাখী উৎসব ও ঢাক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিএম স্কুল মাঠ থেকে একটি বিশাল বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শোভাযাত্রাটি বিএম স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে চিত্রাংকন এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিএম স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
এদিকে সকাল ৯টায় শিল্পকলা একাডেমী চত্ত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সার্কিট হাউজ চত্ত¡রে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় সদর রোডের সিটি কলেজ চত্ত¡র থেকে চারুকলা বরিশালের ব্যানারে এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে সকাল ৭টায় মঙ্গলগীত ও ৯টায় শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনভর নানা আয়োজন থেকে ধর্মন্ধতা দূর করে সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কামনা করেন সবাই। আজকেই এই দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন উদীচী বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন।
পহেলা বৈশাখে করোনা পরবর্তী মানুষের মিলনমেলাকে স্বাগত জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজন উৎসবমূলক এবং শান্তিপূর্ন করতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিডি প্রতিদিন/এএম