প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ইলেকট্রনিক ডিভাইজের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সহযোগিতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল রাব্বিকে সংগঠন থেকে শনিবার বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনকে শনিবার জেল হজতে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিন উদ্দিন জানান, এই ছাত্রলীগ নেতাসহ এ ঘটনায় আটক ৬ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন- মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম ফয়সাল রাব্বি, মাগুরা শহরের ইফতেখার ইসলাম, মহম্মদপুরের শাহানা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিন পরীক্ষার্থী সদরের তারানা আফরোজ, মহম্মদপুরের সোহেল রানা ও একই উপজেলার ইসমত আরা ঝর্না।
জানা যায়, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মাগুরা পলিটেকনিক কলেজ ও এজি একাডেমি স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ দুটি কেন্দ্রে তিন পরীক্ষার্থী মাগুরা সদরের তারানা আফরোজ, মহম্মদপুরের সোহেল রানা ও একই উপজেলার ইসমত আরা ঝর্না পরীক্ষার্থী দিচ্ছিল। অন্যদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে কেন্দ্রের বাইরে থেকে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল রাব্বি, মাগুরা শহরের ইফতেখার ইসলাম, মহম্মদপুরের শাহানা বেগম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে তাদেরকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। যা ওই তিন পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে কানের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র ইয়ারফোন ব্যবহার করে উত্তরপত্রে লিখছিলেন।
কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর ওই দুই কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক ও ম্যাজিস্ট্রেট হাতে নাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন। এসময় ওই ৩ পরীক্ষার্থীকে আটক করলে তারা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সংযুক্ত হিসেবে বাইরে থাকা ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল রাব্বিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ পুলিশের মাধ্যমে ওই ৩ জনকে আটক করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই ৬ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা দেয়া হয়। শনিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়।
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার জেলা ছাত্রলীগ ওই কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম ফয়সাল রাবিকে বহিষ্কার করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিদ খান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া জরুরি বলে মনে করে। কারণ এ ধরণের অপরাধমূলক কাজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দেয়। যা জাতির জন্য হুমকি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত