সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে ঈদগাহ মাঠের কমিটি নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে হাসান (সাবেক চেয়ারম্যান) ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আকমল গ্রুপের সংঘর্ষে বিপ্লব সরকার বিপুল (৪২) একজন নিহত হয়েছেন। নিহত বিপুল গোপিনাথপুর গ্রামের মোক্তারুজ্জামান সরকারের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আকমল জানান,পাঁচ গ্রাম মিলে যৌথ ঈদগাহ ময়দান। আমার বাবা দীর্ঘদিন ওই ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি ছিলেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩১ সদস্যের কমিটির ২৬ জন আমাকে সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করেন এবং আমাকে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান হাসান সরকার ওই কমিটির কউিকে না জানিয়ে ঈদগাহ কমিটির কোষাধ্যক্ষ লুৎফর রহমানকে দিয়ে শনিবার জরুরি সভা আহবান করে মাইকিং করতে থাকে। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে বিপুল শ্যামবাড়িয়া থেকে হরিরামপুর বাজারে দোকানে যাওয়ার সময় হাসান চেয়ারম্যানসহ তার ভাই ভাতিজা ও গোষ্ঠীর লোক মিলে বিপুলকে হত্যা করে।
কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল আলম ঝুনু জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ লাভলুসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং জানমালের যেন আর কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে গ্রাম পুলিশ বসানো হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঈদগাহ কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে হাসান ও আকমল গ্রুপের সংঘর্ষ হয় এবং একজন নিহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং ৬ জনকে আটক করা হয়। নিহতের ভাই হাসিবুজ্জামান কবির হাসান চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম