নওগাঁর মান্দার ভালাইন ইউনিয়নের নিম বাড়িয়া গ্রামে ছাদিয়া আক্তার (৭) নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত ছাদিয়া স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ছায়ের উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে তাদের গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল বাড়ির খলিয়ানে একটি ইফতার ও দোয়ার অনুষ্ঠান চলছে। উক্ত অনুষ্ঠানে নিহত ছাত্রীর বাবা-মা বিভিন্ন কাজ-কর্ম করছে। তাদের কাছে থেকে তাদের মেয়ে একটু দূরে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা-ধুলা করছিল। হঠাৎ করে বিকেল ৩ টার দিক থেকে নিহতের বাবা-মা তাদের সন্তানকে দেখতে না পেয়ে সম্ভব্য সবখানে খোঁজ করতে থাকেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে অনুষ্ঠান বাড়ির পার্শে বাঁশঝাড়ের এক স্থানে আবর্জনা দিয়ে ঢাকা কিছু দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সেই আবর্জনা সরিয়ে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থায়ীয়রা। তাৎক্ষণিক তারা ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান বলেন, 'সংবাদ পাওয়ার পর আমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে এসে দেখি নিহত শিশুর পরনের প্যান্ট তার মুখের ভেতরে দেওয়া আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে কেউ তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।'
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন