নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনীতে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোরে হোসেন মার্কেটের নিচ তলার মিতালী বেকারিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদি থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। যার কারণে অল্পের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় মার্কেটের অন্য দোকানগুলো।
জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) অতীশ চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চৌমহনীতে হোসেন মার্কেটের পাশে দুটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে দুই শতাধিক দোকান পুড়ে যায়। ওই রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
যার কারণে আজ ভোর ৫টার দিকে হোসেন মার্কেটে আগুনের লেলিহান দেখার সাথে সাথে ওই টিম দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে দেয়। খবর পেয়ে চৌমুহনী ও মাইজদি থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও চারটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ছয়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। মিতালী বেকারির মালিক শাহজাহান খন্দকারের দাবি আগুনে মালামালসহ অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চৌমুহনীর স্টেশন মার্কেট ও ইসলাম মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খয়রুল আনম সেলিম ও যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর