টাঙ্গাইলের সখীপুরে বন্দবস্তের জমিতে ঘর তোলা নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত। রবিবার সকালে উপজেলার বেড়বাড়ি টান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সজীব (২৪), শুকুর মাহমুদ (৫৫), শহিদুর রহমান (৩৪), আছিরন (৪০), রাফেলা (৩৫), লেভু মিয়া (৫৬), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৩২), লাভলু মিয়া (৫০), সোহেল (৩৫) ও ফজলুল করিম (৪৫)। গুরুতর আহত হয়ে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন সজীব ও আছিরন। এদিকে লেভু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্য পক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেড়বাড়ি এলাকার সরকারি খাস জমি বন্দবস্ত পায় ওই এলাকার শাহীন মিয়া ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার। ওই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছিলো শুকুর মাহমুদ গং। সেই জমির কিছু অংশে তার বংশের লোকজনের কবর রয়েছে। সোমবার সকালে ওই বন্দবস্তের জমিতে শাহীনের বাবা লেভু মিয়া গং ঘর তুলতে যায়। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় রুনা আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অপর পক্ষের শহিদুর রহমান বলেন, এই জমিতে আমার দাদা, দাদী, ফুপুসহ ৬ টি কবর রয়েছে। সেই জমিটি ভূমিহীন দেখিয়ে শাহীন ও তার স্ত্রী মিলে বন্দবস্ত আনে। আসলে ওরা ভূমিহীন না। শাহীন এখন বিদেশে থাকে, ওরা একটি প্রভাবশালী পরিবার। মারামারির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম। আমাদের বলেছে কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা এর সুষ্ঠু একটা সমাধান চাই।
এ বিষয়ে যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, ওই জমির বিষয়ে কয়েক দফা শালিসি বৈঠক হয়েছে। বন্দবস্তের জমিটি শাহীনদের বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে। তারপরে জমি নিয়ে মারামারি, এটা খুব দুঃখজনক।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল