পিরোজপুর প্রতিনিধি :
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাংবাদিক আমীর খসরুর মা সিতারা হালিমের (৭৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আমীর খসরু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর এক রং মিস্ত্রীসহ ৬-৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আমি (আমীর খসরু) ঢাকা বসবাস করি। আমার দুই বোন বিবাহিত হওয়ায় তারা শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধ মা সিতারা বেগম একাই আমাদের পৈত্রিক বাড়ির দ্বোতালা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তালায় বসবাস করতেন। গত ১৫ মে রাত ৮টা ৫ মিনিট থেকে ১৬ মে সকাল ৯টার মধ্যে কোন এক সময় অজ্ঞাতনামারা অসৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে আমার মাকে হত্যা করে। ১৬ মে সকাল ৯টার দিকে বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়ারা আমার মায়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ফোনে আমার বোন সারশা আরজুকে জানায়। খবর পেয়ে আমার বোন আরজু বাসায় গিয়ে আমার মাকে মৃত অবস্থায় দেখে অন্যান্য আত্মীয় স্বজনকে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, আমার মাকে অসৎ উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার রহস্যউদ্ঘাটনে পুলিশ চেষ্টা করছে। বাসার ভাড়াটিয়া এবং বাসায় যাতায়াতকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া সন্দেহভাজনদের গতিবিধি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ চেষ্টা করছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হবো। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকালে পিরোজপুরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাস ভবন থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় সাংবাদিক আমীর খসরুর মা সিতারা হালিমের। সিতারা হালিম পিরোজপুর পৌরসভার সিআই পাড়া এলাকার বাসিন্দা পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মৃত প্রফেসর আব্দুর হালিম হাওলাদারের স্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক