দিনাজপুরের ফুলবাড়ী একটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর এক ধারায় আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।
সোমবার বিকালে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান মন্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার গরপিংলাই গ্রামের তাসের উদ্দিনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪৩), আজাহার আলীর ছেলে রেজাউল করিম বাবু (৪৮) ও আজিজ সিদ্দিকীর ছেলে আতোয়ার ওরফে আতর আলী (৫১)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আতোয়ার আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী (৪৪) ও একরামুল হক (৫১), মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সাঈদ আলী (৫৮) ও ইদ্রিস আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৪)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার গরপিংলাই গ্রামের সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী একই এলাকার আজাহার আলীর মেয়ে নারগিস নারী নির্যাতনের মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২ আগস্ট ওই মামলার রায়ে সাইফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলা চলাকালে সাইফুল ইসলাম তার জমিজমা বড় ভাই শহিদুল ইসলামের ছেলে তৌহিউল ইসলাম বাবু ও হুমায়ুন কবিরের নামে লিখে দেন।
মামলার রায়ের ১৮দিন পর সন্ধ্যায় হুমাযুন কবির তার মুদি দোকান থেকে বের হয়ে জয়নগর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরেরদিন এমআইবি নামক ইটভাটার সামনে ইটের স্তুপের নিচে হুমায়ুন কবিরের রক্তমাখা মরদেহ পাওয়া যায়। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিনই নিহত ব্যক্তির বড় ভাই তৌহিউল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনার দীর্ঘ ১৩ বছর পর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল