২৬ মে, ২০২২ ১৪:০৩

সুন্দরবনে ছাড়া হলো ১২ 'বাটাগুর বাসকা' কচ্ছপ

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

সুন্দরবনে ছাড়া হলো ১২ 'বাটাগুর বাসকা' কচ্ছপ

সুন্দরবনে স্যাটেলাইট যুক্ত করে অবমুক্ত করা হয়েছে ১২টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ। বৃহস্পতিবার সকালে এসব কচ্ছপ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের কালিরচরের ছেদনখালী খালের চরে ছেড়ে দেয়া হয়। বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা প্রজাতির এই ১২টি কচ্ছপের মধ্যে ১০টি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলের এবং বাকি ২টি খুলনা ও পটুয়াখালী থেকে উদ্ধার করা স্যাটেলাইট যুক্ত কচ্ছপ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কালিরচরের ছেদনখালী খালের চরে স্যাটেলাইটযুক্ত অবমুক্ত করা মহাবিপন্ন প্রজাতির ১২ ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের মধ্যে ১০টি করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া। অন্য দুটি ভারত থেকে চলে আসা খুলনা ও পটুয়াখালী থেকে উদ্ধার করা ২টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ। 
তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিলো যখন সুন্দরবনের এ ধরনের ঈষৎ লবনযুক্ত পানির বাটাগুর কচ্ছপ ছিলো। বর্তমানে এ ধরনের কচ্ছপ আর দেখা যায় না। সুন্দরবনের কোথাও এ ধরনের কচ্ছপ আছে কিনা, তা খুজঁতে ও কচ্ছপের জীবনাচার জানার জন্য এ ১২টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে। 

স্যাটেলাইটযুক্ত বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ অবমুক্ত করার সময় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু’র কিউরেটর টনিসহ সুন্দরবন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা সংরক্ষণের জন্য ২০১৪ সাল বাংলাদেশ বন বিভগ, অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং টিএসএ সম্মিলিতভাবে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করে আসছে। এরআগে ২০১৭ সালে দুইটি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। করোনা মহামারির জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে সুন্দরবনে কোন কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়নি।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর