বরিশালের উজিরপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর গলাকেটে ও চোখ খুঁচে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম দীপ্ত মন্ডল (৮)। সে ওই উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাজী বাড়ির দীপক মন্ডলের ছেলে।
নিখোঁজের তিনদিন পর মঙ্গলবার ভোরে তার বস্তাবন্দি লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক তিনজন হলেন- একই এলাকার নয়ন শীল, তার ভাড়াটে ঘরের মালিক রতন বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ইভা বিশ্বাস।
উজিরপুর থানার ওসি আলী আর্শাদ জানান, গত ২৭ মে রাত ১১টার দিকে দীপ্ত তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে রাতে উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা দীপক মন্ডল। দীপ্ত নিখোঁজের ঘটনায় প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস ও নয়ন শীলের আচরণে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে স্থানীয় জনতা রতন ও নয়নকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দীপ্তকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির অদূরে একটি ডোবা থেকে দীপ্তর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
শিশুটির গলা ও নাক কাটা এবং একটি চোখ খুচিয়ে নষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা লিটন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ অভিযুক্ত নয়ন শীল (৪৩), তার ভাড়াটে ঘরের মালিক রতন বিশ্বাস (৩৬) ও তার স্ত্রী ইভা বিশ্বাসকে আটক করেছে।
এদিকে, দীপ্তর মা সীমা মন্ডলের সাথে আটক নয়ন বিশ্বাসের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় দীপ্তকে হত্যা করা হতে পারে।
অপর একটি সূত্র বলেছে, নয়ন শীল রতনের ঘরের ভাড়াটিয়া। নয়নকে ফাঁসাতে রতন ওই শিশুটিকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের।
তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি উজিরপুর থানার ওসি। তিনি বলেন, আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম